,

কানসাটে আশ্বিনা আমের জমজমাট বাজার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: বিগত কয়েক বছর ভরা মৌসুমে আমের নায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষিরা। তবে এবার পুরো চিত্র উল্টো। মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চাহিদা মতোই দাম পাচ্ছেন এখানকার আম চাষিরা। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম সংশ্লিষ্টরা।

সাধারণত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মৌসুম শেষ হয় আগস্ট মাসের শুরুর দিকে। এবার আশ্বিনা আমের যত্ন নেওয়ায় বাজারে আম পাওয়া যাবে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বুধবার কানসাট বাজারে আম বিক্রি হয়েছে মন প্রতি ৪ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

সকালে কানসাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মৌসুম শুরুর মতো এখনো পুরো বাজারে রয়েছে আম ভর্তি সাইকেল ও ভ্যানে ভরা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদভারে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো বাজার।

সেলিমাবাদ এলাকা থেকে বাজারে আট মন আম নিয়ে বিক্রির জন্য এসেছিলেন আবু জাওয়াদ দাদখান নামে এক আম চাষি।
তিনি বলেন, গত বছরগুলোতে আমের দাম না পাওয়ায় আমের তেমন যত্ন নেওয়া হয়নি। এবার আমের ভাল দামের আসায় প্যাকেট করা হয়। তাদের বাগানের আম আরও প্রায় ১৫ দিন বাগানেই রাখা যাবে। প্রতিমণ আশ্বিনা আম বিক্রি করেছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। সময় যতই পার হবে আমের দাম ততই বাড়বে বলে আশা করেন এই আম চাষি।

বেলাল বাজার এলাকার বাগান মালিক জসিম জানান, এখনো তার বাগানে প্রায় ১শ মন আম রয়েছে। সে আম বিক্রি করে গত কয়েক বছরের দাম পুষিয়ে নিতে পারবেন। তিনিও বুধবার কানসাট বাজারে আম আনেন দুই ভ্যান। প্রতিমণ আম বিক্রি করেছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে।

তবে কয়েকজন আম চাষি অভিযোগ করেন, ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে ভারতীয় চোষা আমে। ভারতীয় আম আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কমে এসেছে দেশীয় আমের দাম। যদি ভারতীয় আম আমদানি না হতো তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতি মণ আশ্বিনা আম বিক্রি হত ১০ হাজার টাকা করে। তারা আমের মৌসুমে ভারতীয় আম আমদানি বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর